কোরোনা রোগী অদল-বদল ভাইরাস ছিল ভাইয়ের কিন্তু চিকিৎসা চললো দাদার।

কোরোনা রোগী অদল-বদল ঝাড়গ্রামে । করোনা ভাইরাস ছিল ভাইয়ের কিন্তু চিকিৎসা চললো দাদার।

ঝাড়গ্রামে,  পরে স্বাস্থ্য বিভাগ ভুল বুঝতে পেরে ভাইকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ভুলের জন্য সাজা ভোগ করতে হল এক পরিবারকে । ঘটনাটি ঝাড়গ্রামে ঘটেছে । স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে , ঝাড়গ্রাম থেকে 5 কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে 18 বছরের এক যুবকের কোরোনা (Covid-19) পজ়িটিভ ধরা পড়ে 10 May । সেই  রাতেই তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে জেলা প্রশাসন । কিন্তু করোনা  আক্রান্ত যুবককে আনতে গিয়ে ভুল করে তাঁর দাদাকে নিয়ে আসে পুলিশ । তাঁকে পাঠানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য । এর 4 দিন পর জানা যায় পুলিশ ভুল ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছে । কোরোনা পজ়িটিভ হল তাঁর ভাই । তৎক্ষণাৎ তদন্ত করে জেলা প্রশাসক । স্থানীয় ভাবে জানা গেছে, ওড়িশার সম্বলপুর সোনার কারিগরে হিসেবে কাজ করতো আক্রান্তের দাদা । এরপর সেখানে দাদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়ে আক্রান্ত যুবক । পরে দু'জনেই বাড়ি ফিরে আসে । এরপর দু'জনেই ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিজেদের কব টেস্ট করা হয় । পরে 10 ই মে দুই ভাইয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে । সেখানে ভাইয়ের পজ়িটিভ এবং তাঁর দাদার নেগেটিভ পাওয়া যায় । রিপোর্ট আসার পর পুলিশ ভুল করে ভাই এর পরিবর্তে দাদাকে নিয়ে চলে যায় বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে । 4 দিন ধরে কোরোনা হাসপাতালের চিকিৎসার পর যুবকে বয়স সন্দেহ কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাগ শুরু করে হাসপাতাল থেকে । এরপরই তড়িঘড়ি তারা রিপোর্ট পাঠায় ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনে । ততক্ষণে আক্রান্ত যুবকের দাদাও জানতে পারে সে COVID-19 আক্রান্ত নয় । তাঁর ভাই পজ়িটিভ ।

এই দিকে ভাইয়ের নেগেটিভ রিপোর্ট জানার পর সে স্থানীয় এলাকায় ইতিমধ্যেই ঘুরে বেড়িয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী । ফলে সে কার কার সংস্পর্শে এসেছে সেই খোঁজখবর শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ । তবে ভাইয়ের বদলে দাদাকে কীভাবে নিয়ে চলে গেল চিকিৎসা করাতে সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।  এই বিষয়ে BJP-র জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতি বলেন, " পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । জঙ্গলমহলের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন । এই মহামারী সময় প্রশাসন ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এখানকার জেলা প্রশাসন ও জেলা শাসক সঠিক তথ্য দেন না গ্রামবাসীকে।"